Android (Operating System)




আজকের টপিক: এনড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম)



এনড্রয়েড (ইংরেজি: Android) হল মোবাইলের জন্য কিছু সফটওয়্যারের সম্মিলন যেটাতে অপারেটিং সিস্টেম, মিডলওয়্যার এবং এপ্লিকেশনগুলো এক সাথে থাকে। এটি সাধারনভাবে লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (ওএস); বর্তমানে গুগল দ্বারা তৈরী ও উন্নয়ন করা হচ্ছে। গুগল ইনকর্পোরেটের প্রাথমিক ডেভেলপারদের (এনড্রয়েড ইনকর্পোরেট) কিনে নেয় ২০০৫ সালে। গুগল এবং অন্যান্য মুক্ত হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের সদস্যরা এন্ড্রয়েডের উন্নয়ন এবং বাজারে উন্মুক্ত করা নিয়ন্ত্রন করে। এনড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট’টি (এওএসপি) এন্ড্রয়েডের রক্ষনাবেক্ষন এবং ভবিষ্য উন্নয়নের কাজ করে থাকে । এনড্রয়েড হল বিশ্বের শীর্ষ বিক্রিত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম।
ইন্টারফেস
এনড্রয়েডের ব্যবহারকারী ইন্টারফেস সরাসরি পরিচালনা করা যায় স্পর্শের মাধ্যমে, এছাড়া বিশেষ ধরনের স্পর্ষের ধরন যেমন সুইপিং, ট্যাপিং, পিঞ্চিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রদর্শনীর বিষয়বস্তুকে পরিচালনা করা যায়। আর লেখার জন্য রয়েছে একটি ভার্চুয়াল কি-বোর্ড। ব্যবহারকারী প্রদত্ত ইনপুটের প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গেই দেখা যায়, যার ফলে মসৃন ও চমৎকার অভিজ্ঞতা লাভ হয় ব্যবহারকারীর। ব্যবহারকারীকে সহায়তার জন্য কম্পনের মাধ্যমে স্পর্ষ বিষয়ে জানানো হয় যাকে হ্যাপটিক ফিডব্যাক বলে। অভ্যন্তরীন হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন অংশ যেমন অ্যাকসেলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর বিভিন্ন এ্যপ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যবহারকারীর জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকে। যেমন যন্ত্রটি অনুভূমিক বা উলম্ব থাকলে প্রদর্শনী ঠিক করা, রেস গেম খেলার সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রন করা ইত্যাদি।
এনড্রয়েড হার্ডওয়্যার
এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন স্মার্টফোন, নেটবুক, টেবলেট, গুগল টিভি এবং অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। এনড্রয়েডের মূল প্লাটফর্ম হল এআরএম আর্কিটেকচার। যেখানে এক্স সমর্থন পাওয়া যায় এনড্রয়েড এক্স৮৬ প্রজেক্ট থেকে[, এবং গুগল টিভি এনড্রয়েডের এক্স৮৬ ব্যবহার করে। প্রথম বানিজ্যিক এনড্রয়েড ফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম, যেটা ২২শে অক্টোবর ২০০৮ সালে বাজারে আসে। ২০১০ সালের শুরুর দিকে আধিপত্য বিস্তারে গুগল এইচটিসির সাথে একসাথে কাজ করে নেক্সাস ওয়ান বাজারে ছাড়ে। এরই ধারায় স্যামস্যাঙ তৈরী করে নেক্সাস এস। একটি জেইলব্রোকেন বা লক ভাঙ্গা আইফোন অথবা আইপড টাচে আইওএস (এ্যপল আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) এবং এনড্রয়েড ২·৩·৩ জিন্জারব্রেড একসাথে চলতে পারে দ্বৈত বুটের মাধ্যমে। দ্বৈত বুটের জন্য ওপেনআইবুট এবং আইড্রয়েডের সাহায্য প্রয়োজন।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
"অনুমতি" ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিশেষ এ্যপের সিস্টেম কার্যাবলি নিয়ন্ত্রের অধিকার যাচাই করা হয়।
এনড্রয়েড এ্যপ চলে স্যান্ডবক্সে, যার মানে হল সিস্টেমের এমন এক অংশ যা অন্যান্য মূল অংশের প্রবেশাধিকার বিহিন যদি না তাকে প্রবেশের অধিকার দেয়া হয় (অনুমতি বা পারমিশনের মাধ্যমে)। এই অনুমতি এ্যপ ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারীর সম্মতির মাধ্যমে নেয়া হয়। একটি এ্যপ ইনস্টল হওয়ার পূর্বে গুগল প্লে স্টোর সকল অনুমতি দেখায় যা এ্যপটি ব্যবহার করতে পারে। যেমন একটি গেমের হয়ত ভাইব্রেশন সুবিধাটি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে বা ডাটা সংরক্ষন করা বা ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার ইত্যাদি কিন্তু এটি ফোনবুক বা এসএমএস পড়ার নিশ্চয় কোন প্রয়োজন নেই। স্যান্ডবক্সিং সিস্টেম এবং অনুমতি ব্যবস্থা সিস্টেমকে বিভিন্ন প্রকার আক্রমণ্যতা ও এ্যপ ত্রুটির হাত থেকে রক্ষা করে কিন্তু অনেক সময় এ্যপ প্রস্তুতকারীর অজ্ঞতার ফলে দ্বিধা ও জটিলতার সৃষ্টি করে ফলে এ্যপের প্রায়ই অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয় যা কার্যকারিতা হ্রাসের কারণ। গুগল একটি হালনাগাদের মাধ্যমে এনড্রয়েড এ্যপ পরীক্ষন ব্যবস্থা বৈশিষ্ট্যটি দিয়েছে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে এবং কোন প্রকার ম্যালিশিয়াস প্রক্রিয়াকে ধরতে পারে। (সংক্ষিপ্ত - সংগ্রহীত)
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের পরবর্তী পোস্ট গুলো পেতে এবং আগের পোস্টগুলো পড়তে আমাদের পেজকে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন এবং শেয়ার করুন। 

মাস্ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন